স্টাফ রিপোর্টার- ওমর আলম,
ঢাকায় বাসচাপায় নিহত পুলিশের এসআই উত্তম কুমার সরকারকে চোখের জলে সোমবার রাতে শেষ বিদায় জানালেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। সোমবার রাত ৯টার দিকে উত্তমের লাশ তার বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সদরের বেতডোবা কর্মকারপাড়া পৌঁছে। তাকে শেষ দেখার জন্য শত শত মানুষ ভিড় করে। স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। ছেলের লাশ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা কামনা সরকার। নিজের বাড়িতে কিছুক্ষণ রাখার পর উত্তমকে কালিহাতী কেন্দ্রীয় শ্মশানে নেয়া হয়। সেখানে রাত ১০টার দিকে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, এ গ্রামের ভজন সরকারের ছেলে উত্তম লেখাপড়ায় যেমন মেধাবী, তেমনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তার সরব পদচারণা। গিটার, তবলা, বাঁশি যেমন বাজাতেন, তেমনি ক্রিকেটের মাঠেও ছিল কালিহাতীর সেরা। কালিহাতী আরএস হাইস্কুল থেকে এসএসসি, কালিহাতী কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর উত্তম ভর্তি হন ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০০৮ সালে মার্কেটিংয়ে বিবিএ সম্পন্ন করে দেশে আসেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগ দেন। নিজ যোগ্যতা ও মেধায় মাত্র ছয় বছরেই উপপরিদর্শক (এসআই) পদ লাভ করেন। ২০১৫ সালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার মেয়ে তমা চৌধুরীকে বিয়ে করেন তিনি।
উত্তমের লাশ যখন বাড়ি থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন দুই মাসের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে তার স্ত্রী তমা চৌধুরী বিলাপ করছিলেন। চোখের জলে সান্ত্বনা দেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তমা চৌধুরী বলেন, আমার স্বামী কি এমন অপরাধ করেছিল যে তার এমন অবস্থা হল। এখন কে দেখবে আমার মেয়েকে।