
সালাহ উদ্দিন মজুমদার>>>
আবার ক্ষমতায় আসতে পারবো কি না জানি না। যদি আসি তো ভালো। আর যদি না আসতে পারি আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ দেশের উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখবেন বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ আয়োজিত ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনশন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এ এম এম সালেহ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে খাদ্য সংকট হবে। খাদ্যের জন্য আর যেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ না হতে হয়।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আপনাদের সবচেয়ে বেশি। কারণ কৃষি শক্তিশালী হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর কৃষি গবেষণায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কম জমিতে কীভাবে বেশি ফসল করতে হবে তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। লবণাক্ত জমিতে, খরার সময় এবং জলমগ্ন জমিতে ধানচাষ করার জন্য আলাদা আলাদা ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। যে কারণে দেশের চারিদিকে সমানভাবে ধান উৎপাদন হচ্ছে। ফলে তৃণমূলের মানুষ অর্থনৈতিক সুফল পাচ্ছে। একটি বাড়ি একটি খামারের মধ্যদিয়ে তৃণমূলের মানুষকে আমরা স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছি। তাদের বলা হয়েছে এক ইঞ্চি জায়গা যেন খালি পড়ে না থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকদের উৎপাদন সহযোগিতার জন্য মাত্র ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ দিয়েছি। ফলে সরকারের দেয়া ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। কৃষিঋণ কৃষকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সার নিয়ে অার কোনো লুকোচুরি নেই। অথচ এই সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে। সেচের দাবিতে মিছিল করতে গিয়ে অনেক কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে শত বছর পরে আমরা বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই সেভাবে পরিকল্পনা করছি। এ জন্য ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা জয় করেছি। এই সমুদ্রসীমায় শুধু খনিজ নয়, মৎস্যসম্পদ যেন ভাণ্ডারে পরিণত হয় সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।