স্টাফ রিপোর্টার>>>ওমর আলম
ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে আরও দেড় হাজার কেজি গাঁজাজাতীয় নেশাদ্রব্য ‘খাটপাতা’ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন জাহান বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ইথিওপিয়া থেকে ‘খাট’-এর চালানটি ঢাকায় আসে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম শাখা চালানটি জব্দ করে।
তবে কখন চালানটি জব্দ করা হয়, এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি সিআইডি।
এর আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘খাট’-এর একাধিক চালান জব্দ হয়।
সোমবার সকালে বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিস থেকে প্রায় ১৩৫ কেজি ‘খাট’ জব্দ করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।
গত শনিবার বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টম হাউস ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ অভিযানে ১৬০ কেজি ‘খাট’ জব্দ হয়।
গত ৩১ আগস্ট বিমানবন্দর থেকে ৪৬৭ কেজি ‘খাট’-এর চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজিমউদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন নাজিমউদ্দিনের শান্তিনগরের কার্যালয় থেকে আরও ৩৯৪ কেজি খাট জব্দ করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ‘খাট’ অনেকটা চা-পাতার গুঁড়োর মতো দেখতে। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে এটি সেবন করা হয়।
এর প্রতিক্রিয়া অনেকটা ইয়াবার মতো। এক ধরনের গাছ থেকে এই ‘খাট’ বা এনপিএস তৈরি হয়। এটি ‘খ’ ক্যাটাগরির মাদক। আফ্রিকার দেশ জিবুতি, কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেনে ওই গাছ পাওয়া যায়।
এই নেশাদ্রব্য আফ্রিকার দেশগুলোতে বহু আগে থেকেই প্রচলিত। তবে ইদানীং বিভিন্ন দেশে হেরোইন বা ইয়াবার মতো মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ভেষজ নেশার পাতা।
এই নেশাদ্রব্য যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে বা দীর্ঘ সময় জেগে থাকতে সাহায্য করে বলে ধারণা করা হয়। তবে এটি সেবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।