
সালাহ্উদ্দিন মজুমদার>>>>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: সুদখোর-ঘুষখোর, খুনিরা একত্র হয়ে জোট গড়েছে। তবে তাদের গড়া এই জোট নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকেই নির্বাচিত করবে। দুর্নীতিবাজদের এই জোট কী করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে?
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন: আমি আশা করি, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে পাওয়া যাবে প্রবাসীদের। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের পাশে চাই।
প্রযুক্তির সহযোগিতায় দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান: দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে উঠছে।
এসময় দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেন।
স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ২টা ১১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট বিএ-১৮৫ নিউইয়র্ক সিটির অদূরে নিউজার্সি রাজ্যের নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে ম্যানহাটনের হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতিসংঘের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মি ও সমর্থকেরা বিমাবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তারা এসময় বিভিন্ন স্লোগানে বিমাবন্দরের টার্মিনাল সরগরম করে রাখেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদসহ যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তির পরও একইদিন সন্ধ্যায় ম্যানহাটনের হোটেল হিলটনের সুবিশাল বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনায় মঞ্চে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা