
স্টাফ রিপোর্টার>>> ওমর আলম
মোটরসাইকেলে তেল নেয়ার জন্য রাজধানীর মিরপুরে গিয়েছিলেন মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ (১৯)। তেল নেয়ার পর তার সাভারের সাদুল্যাপুর এলাকার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আর ফেরা হয়নি।
বুধবার বিকালে মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে বাসের চাপায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। এদিকে মাতুয়াইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাইদুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি।
মিরপুর থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, দুর্ঘটনায় দায়ী নুর-এ-মক্কা পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এর চালক আজাদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
মিরপুর থানার এসআই নুরুজ্জামান জানান, পরিবারের সঙ্গে সাভারের সাদুল্যাপুর এলাকায় থাকতেন রুবেল আহমেদ। তিনি মোটরসাইকেল চালাতে ভালোবাসতেন। এদিন বিকালে তিনি তার মোটরসাইকেলে তেল ভরার জন্য মিরপুরের একটি রিফুয়েলিং স্টেশনে আসছিলেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মিরপুর-২ নম্বর সনি সিনেমা হলের সামনের সড়কে পৌঁছান।
তিনি জানান, এ সময় নুর-এ-মক্কা পরিবহনের একটি বাস তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। মাথা ফেটে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার জন্য বাসচালকই দায়ী ছিলেন। কারণ তিনি পেছন থেকে গিয়ে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাস থামিয়ে চালককে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এইচএসসি পাসের পর কোথাও ভর্তি হননি রুবেল। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি একটি লাইব্রেরিতে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। তার বাবার নাম আবদুস সাত্তার মোল্লা। ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন রুবেল।
প্রত্যক্ষদর্শী সার্জেন্ট আব্দুর রহিম জানান, নুর-এ-মক্কা পরিবহনের বাসটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে ১০ নম্বর সেকশনের দিকে যাওয়ার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।