স্টাফ রিপোর্টার>>>
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা চালাতে প্রস্তুতি নিয়েছে ছাত্রশিবির। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী ও ক্যাডার বাহিনীকে ঢাকায় এনে গোপন বৈঠক করছে সংগঠনটি। নাশকতা চালাতে এসব বৈঠক থেকে দেশব্যাপী প্রশিক্ষিত ক্যাডারদের ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। এমন প্রশিক্ষিত ৩৩ শিবির ক্যাডারের খোঁজে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তাদের নাম উঠে এসেছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে সহিংসতা চালাতে বিস্ফোরক সংগ্রহ ও ক্যাডার বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ছাত্রশিবির। ঢাকার গোপন বৈঠকে বসেই হচ্ছে নাশকতার পরিকল্পনা। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর এটাকে ইস্যু করে মাঠে নামার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। ঢাকাকে টার্গেট করে যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, উত্তরাসহ আশপাশের এলাকায় আস্তানা গেড়েছে তারা। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনে নাশকতা মোকাবেলায় পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সহিংসতার চেষ্টা করতে পারে এমন ব্যক্তিদের খুঁজে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বিস্ফোরক, একটি কম্পিউটার ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি মো. আবদুর রহমান, সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সূত্রাপুর থানা ছাত্রশিবিরের সাথী ওমর ফারুক, যাত্রাবাড়ী থানার সদস্য রোকনুজ্জামান, কর্মী মেহেদি হাসান, জুয়েল রানা, ইমরান হোসেন ইমন, শেহেদ, জামায়াতের রুকন আবুল হাসেম ও রুহুল হক। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালায় থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে ওয়ারী এলাকা থেকে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শাফিউল আলমসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৫ কেজি বিস্ফোরক, লিফলেট, চাঁদা তোলার (বায়তুল মাল) বই জব্দ করা হয়। ৩৩ জনের খোঁজে মাঠে গোয়েন্দারা : নির্বাচনে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হতে পারে শিবিরের এমন নেতাকর্মী ও ক্যাডার বাহিনীর তালিকা তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে নিচে উল্লেখিত ৩৩ জনকে ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। তারা হচ্ছেন- ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন, দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, প্রকাশনা সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি কাজী মাসুম সরকার, উত্তরের সভাপতি জামিল আহম্মেদ, পূর্বের সভাপতি সোহেল রানা মিঠু, পশ্চিমের সভাপতি আবদুল আলীম, ঢাকার শিবির নেতা মারুফ বিল্লাহ ও সৈয়দ ওমর ফারুক, চাঁদপুরের সাব্বির আহম্মেদ, ভোলার আবী আবদুল্লাহ, নোয়াখালীর আফনান রহমান, ইয়াছিন আরাফাত, মতিউর রহমান ও আবদুল্লাহ আলম মাসুম, নেত্রকোনার জাকির হোসেন, কুমিল্লার আবদুল্লাহ আল মামুন ও তানভীর হোসেন, লক্ষ্মীপুরের আবদুর রব ও নূরুল আফসার, ঝালকাঠির শাওন তালুকদার, সুনামগঞ্জের মো. আহসান উল্লাহ, শরীয়তপুরের নূরে আলম, ঠাকুরগাঁওয়ের আবদুল মতিন, সাতক্ষীরার শাহরিয়ার ইসলাম, বরগুনার ফুয়াদ আবদুল্লাহ এবং নরসিংদীর খোরশেদ আলম, আরিফ রব্বানী, রাকিবুল হাসান, কামরুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান।