অফিস ডেস্ক>>>আন্তর্জাতিক
তুরস্কে সৌদি দূতাবাসে গিয়ে সাংবাদকি জামাল খাসোগির নিখোঁজ হওয়া নিয়ে রহস্য কাটেনি। তাকে জোরপূর্বক সৌদি আরবে নেয়া হয়েছে বলে লেবাননের একটি পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর এবার তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ওই সাংবাদিককে হত্যা করে তার লাশ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্ত।।
তুর্কি পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে বলেছে, খাশোগি ইস্তানবুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটেই নিহত হয়েছেন। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর পরই লাশ কনস্যুলেটের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সৌদি রাজতন্ত্রের ঘোর বিরোধিতাকারী খাশোগি ২০১৭ সাল থেকে আমেরিকায় স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
গত মঙ্গলবার বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে তিনি ইস্তানবুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। এ সময় তার হবুবধূ কয়েক ঘণ্টা কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু খাশোগি সেখান থেকে বের না হওয়ার পর ওই নারী তুরস্কের পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, খাসোগিকে হত্যা করতে ১৫ জনের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছিল।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, যে সময়ে খাসোগি কনস্যুলেটের ভেতরে ছিলেন – সেই সময়টাতেই প্রায় ১৫ জন সৌদি লোক সেখানে ছিল। মঙ্গলবারই এই ১৫ জন বিমানে ইস্তাম্বুল পৌঁছায় বলে বলা হয়।
তুর্কী-আরব মিডিয়া এসোসিয়েশনের প্রধান তুরান কিসলাকচি মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, তুর্কী পুলিশ সৌদি কনস্যুলেটের নিরাপত্তার জন্য বসানো সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছে, এবং তাতে জামাল খাসোগি বেরিয়ে যাচ্ছেন এমন কোন কিছু দেখা যায় নি।