স্টাপ রিপোর্টার>>> সোলায়মান মাহদী
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর থেকে ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার অল্প সময় পর সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ। আজ সোমবার সকালে জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর ওই উড়োজাহাজ নিখোঁজ হয় বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, উড়োজাহাজটিতে মোট ১৮৯ জন যাত্রী ছিলেন।
কী কারণে জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেলের উড়োজাহাজটি একবারেই নতুন।
উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘উড়োজাহাজটি পানির ৩০ থেকে ৪০ মিটার গভীরে বিধ্বস্ত হয়। আমরা এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে কাজ করছি।’
টুইটারে এই উদ্ধারকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘পানিতে যাত্রীদের পরিচয়পত্র, গাড়ি চালনার লাইসেন্সের মতো বেশ কিছু দরকারি জিনিস পাওয়া গেছে। আমরা জানি না এখনো কেউ বেঁচে আছেন কি না। আশা করছি, দোয়া করছি। তবে আমরা নিশ্চিত নই।’
এর আগে উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তিন শিশুসহ উড়োজাহাজটিতে ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া দুজন পাইলট ও পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুতোপো পারো নাগরোগো এক টুইট বার্তায় বলেন, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ, মালপত্র সমুদ্রে ভাসতে দেখা গেছে। তিনি ওই টুইট বার্তায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে যাত্রীদের ব্যক্তিগত ব্যবহার করা জিনিস সমুদ্রের ভাসতে দেখা গেছে।
আজ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা ছেড়ে যায় জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি। এক ঘণ্টার মধ্যে পাংকাল পিনাংয়ের দেপাতি আমির বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল ফ্লাইটটির। তবে ওড়ার ১৩ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফ্লাইটটির। শেষ মুহূর্তে পাইলটকে জাকার্তার সুকর্ন হাত্তা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে বলা হয়। বিমানটিকে সর্বশেষ সাগর পাড়ি দিতে দেখা যায়।
লায়ন এয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, পাইলট ও সহকারী পাইলট দুজনই অভিজ্ঞ ছিলেন। এর আগে ১১ হাজার ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল তাঁদের। ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্তত ২০ জন কর্মকর্তা ফ্লাইটটিতে ছিলেন।