স্টাফ রিপোর্টার>>>রাসেল
বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় নিহত কাজী মুনসিরাতুল রহমান ওরফে আলিফ (১৮) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার হাসানদিয়া গ্রামের দিপুর ছেলে এবং ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় আলিফের সহপাঠী সাধন কীর্তনিয়া আহত হয়েছে। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাধন জানায়, সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে আলিফের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।কিন্তু সিফাত নামে এক ছেলে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। এ নিয়ে আলিফ ও সিফাতের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
বুধবার বিকেলে এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা করার কথা বলে আলিফকে রাজেন্দ্র কলেজের সামনে ডেকে পাঠায় সিফাত। পরে সন্ধ্যার দিকে তাকে সঙ্গে নিয়ে আলিফ সেখানে যায় বলে জানায় সাধন।
সাধনের ভাষ্য, ঘটনাস্থলে সিফাত ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলিফকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এ সময় সে বাঁধা দিতে গেলে তাকেও কোপানো হয়। পরে ‘অন্য হামলাকারীদের’ অস্ত্রের আঘাতে সিফাতও আহত হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, আলিফকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
“সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার আলিফকে জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।পরে ঢাকায় নেওয়া পথে আলিফের মৃত্যু হয়।”
পরিদর্শক বিপুল বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিফাতের চিকিৎসা চলছে।এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।