
সালাহ্উদ্দিন মজুমদার>>>>
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের পর এখনো নির্দিষ্ট কোনো সমাধান আসেনি। বুধবার দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসছে দুই পক্ষ।
কিন্তু দ্বিতীয় দফা সংলাপের আগেই নির্বাচন কমিশন তফসিল পেছাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে পরবর্তী আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার সংলাপে সমাধান না আসলে রোড মার্চ ও নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে ঐক্যফ্রন্ট।
তবে বুধবার সংলাপে আশানুরুপ কোনো সমাধান আসবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন এক জটিল পরিস্থিতিতে আবারও রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দাবি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া। কিন্তু সেই দাবি এখনো মেনে নেয়ার কোনো আলামত দেখা যায়নি। ফলে নির্বাচনে লেবেল প্লেইংফিল্ড নিয়েই মূল সমস্যাটা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
মঙ্গলবার একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে না দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে না। সংসদ ভেঙে না দিয়ে তফসিল ঘোষণা করলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতেই পারে। কারণ এখন ট্র্যাডিশন হয়েছে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার। ছোট পরিসরে সরকার থাকতেই পারে। কিন্তু সংসদ না ভাঙলে নির্বাচনের মাঠ সমান্তরাল হবে না। আর এটিই মূলত জটিলতা সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, অসমান্তরাল মাঠে বিরোধীপক্ষ কীভাবে খেলবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ। সরকার তাদের দাবি না মানলে খেলা তো আর থেমে থাকবে না। কঠিন হলেও বিরোধীপক্ষও খেলতে চাইবে এবার।
সরকার দাবি না মানলে শেষ পর্যন্ত কী ঘটতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কী ঘটবে তা বলা মুশকিল। সরকার আরও বেপরোয়া হতে পারে। আরও অসহিষ্ণু আচরণে বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্নের চেষ্টা করতে পারে। এর বিপরীতে বিরোধী জোটও অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে। এই অনিশ্চয়তা তো আছেই।