স্টাফ রিপোর্টার>>>রাসেল
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিনা উস্কানিতে মনোনয়ন ফরম নিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর পরিকল্পিত হামলা করেছে পুলিশ।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন পুলিশ দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন রিজভী।
এর আগে, দুপুর ১টায় ১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কা ধাক্কি হলে হেলমেট কেড়ে নেয় নেতাকর্মীরা। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উপস্থিত নেতাকর্মীরা আশেপাশের মার্কেট, হোটেল, শপিং মল ও গলিতে অবস্থান নেয়।
পুলিশের ভাষ্য, সড়ক অবরোধ করে মিছিল করলে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলে। এসময় পুলিশের ওপর চড়াও হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশেরর দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ইটপাটকেলে পুলিশের ২০ থেকে ২৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছিল। এ উপলক্ষে গত দুই দিনের মত আজও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে থাকেন। রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন হাতে স্লোগান দিয়ে, ব্যান্ড বাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের সড়কে মিছিল করেছেন।
নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে সাত দফা এক দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, তারেক রহমানের মুক্তি চাই, রাজপথ ছাড়ব না ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন। অনেকে জনসমর্থনের প্রমাণ দিতে বিশাল বিশাল বহর নিয়ে হাজির হয়েছেন।সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম কেনার মাধ্যমে ফরম বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনে সোমবার এক হাজার ৩২৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি।