আজ

  • শুক্রবার
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিয়া সাইবার ফোর্সের মহাসচিব হারুন অর রশীদ গ্রেফতার

আপডেট : ডিসেম্বর, ৭, ২০১৮, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ


স্টাফ রিপোর্টার>>>কামরুল রাসেল

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা এবং মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ প্রচারণার অভিযোগে কে এম হারুন অর রশীদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
সংস্থাটি বলছে, এই হারুন জিয়া সাইবার ফোর্সের মহাসচিব। শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টনের গুলিস্তান থেকে তাকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-৩ এর সাইবার মনিটরিং সেল দীর্ঘদিনর ধরে এই গ্রুপটি পর্যবেক্ষণ করছিল।
র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রানী দাস বলেন, জিয়া সাইবার ফোর্স গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা ও মনগড়া পোস্ট প্রচার করছে। এতে করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও এই গ্রুপের একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র‌্যাব-৩ জানতে পারে, শুক্রবার সকালে গুলিস্তান এলাকায় এই গ্রুপের সদস্যরা গোপন বৈঠক করবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী অপপ্রচার জোরদার করার পরিকল্পনার জন্য ওই বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কে এম হারুন উর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হারুন অর রশীদ জানান, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে গুজব ছড়ানোর কাজ করছিলেন তারা। জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সম্পর্কে করুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ছবি পোস্ট করছে ‘জিয়া সাইবার ফোর্স’।

উদ্দেশ্য ছিল, গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে উৎখাত করা। ২০১৬ সাল থেকে ‘জিয়া সাইবার ফোর্স’ গ্রুপ এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হারুনের বারবার নাম শুকুর আলী খন্দকার। গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়ার করমজা গ্রামে।

তিনি আশুলিয়ার পশ্চিম জিরাবো (বাগানবাড়ী) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। হারুন ‘জিয়া সাইবার ফোর্সে’র মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি এই গ্রুপের একজন অ্যাডমিনের দায়িত্বও পালন করছিলেন।

র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, র‌্যাব-৩ এর সাইবার মনিটরিং সেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পোস্ট যাচাই-বাছাই এবং পর্যবেক্ষণ করে। সাইবার টহল ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারিও করে থাকে সাইবার মনিটরিং সেল।

র‌্যাব-৩ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা ও বানোয়াট পোস্ট প্রচারকারী অনেক ফেসবুক আইডি ও ফেসবুক পেজের সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে ‘জিয়া সাইবার ফোর্স’ অন্যতম।

error: Content is protected !!