
স্টাফ রিপোর্টার>>>কামাল উদ্দিন
পুলিশী অভিযানের মুখে গ্রেফতার আতঙ্কে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশী অভিযান অব্যাহত থাকায় অনেকে পালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেনা বলে দাবি করেছেন বিএনপি প্রার্থী মো. আকবর হোসেন। দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টু সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকাল বিকাল রাতে সময়ের কোন বালাই নেই পুলিশের হাতে। দিনে ও রাতে একেক নেতার বাড়িতে ৮/১০ বার করে হানা দিচ্ছে পুলিশ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত কয়েক দিন যাবৎ তার বাড়িতে পুলিশ প্রতিদিন ৮/১০ বার করে হানা দিচ্ছে। নিয়মিত বাড়ি গিয়ে খাবারও খেতে পারছেননা। বাড়িতে গিয়ে ঘুমাতেও পারছেননা। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকা স্বত্তেও পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতারের নামে হয়রানি করছে। তিনি আরো বলেন, শুধু তিনি নয়, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টুকে বিনা মামলায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া যুবদল কর্মী মো. সেলিম, জামায়াত নেতা মোতাহের হোসেন, যুবদল কর্মী নজরুল ইসলাম শরীফ সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি আরো দাবি করেন, উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক খুরশিদ আলম ভূঞা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বোরহান উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন বাবর,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,যুবদল নেতা মোজাম্মেল হোসেন আজাদ ও সহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ প্রতিনিয়ত তল্লাশী করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
ফলে অধিকাংশ নেতাকর্মী গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা হচ্ছেনা। বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশীর অভিযোগ সম্পূূর্ণ মিথ্যা।