
সালাহ্উদ্দিন মজুমদার>>>>
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনী সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলের নাম ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রে পাঠানোর পর ফের আলোচনায় উঠে আসে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কমের নাম। এনিয়ে কোন দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতা ইতিমধ্যে প্রকাশ্য মন্তব্য না করলেও কর্মী-সমর্থকদের আলোচনা-সমালোচনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম।
দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদ চেয়ে জেলা কমিটির নিকট প্রায় অর্ধডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী আবেদন করেন। গত ২৯ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন উপ-কমিটির বৈঠক শেষে প্রথম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল এবং পরবর্তীতে শুসেন চন্দ্র শীলকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। পৌরসভা প্রাঙ্গনে সমবেত স্বত:স্ফূর্ত নেতাকর্মীদের সামনে এ ঘোষণার পর শুসেন চন্দ্র শীলের সমর্থকদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। একইসঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জোসনা আরা জুসির নাম ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উল্লেখিত তিনজনকে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে কেন্দ্রে প্রস্তাব করা হয়। এর দু’একদিন পর দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে স্বাক্ষাত করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বি.কম মনোনয়ন চান বলে ওই সূত্রের দাবী। কেন্দ্র থেকে তাকে সবুজ সংকেত দেয়া হয় বলেও জানা গেছে। ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ফের তার নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রকে দেয়া একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় নতুন মাত্রা পায়।
রহমান বি.কমের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষাতকালে তিনি ফেনী-৩ আসনে সংসদ সদস্য হতে নৌকার প্রার্থীতা দাবী করেন। তখন দলীয় প্রধান তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকার পরামর্শ দেন। সেই থেকে তৃতীয়বারের মতো সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা নিশ্চিত বলেই ধরে নেন এ প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা।
অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকলেও শুসেন চন্দ্র শীল দলীয় নেতাকর্মীদের চোখে জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে প্রভাবশালীদের একজন। বিশেষ করে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক। এর আগে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ থেকে সদর উপজেলায় তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করতে দলের একটি অংশ জোর প্রচারণা চালায়।
এমন পরিস্থিতিতে সদর উপজেলায় নৌকার প্রার্থী কে হচ্ছেন কেন্দ্রের চূড়ান্ত ঘোষণার আগে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।