আজ

  • শুক্রবার
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক কর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

আপডেট : মার্চ, ২৫, ২০১৯, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ


সালাহ উদ্দিন মজুমদার >>>

ফেনীতে গত সপ্তাহে ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতে এবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ফেনী শাখায় হাসান মাহম্মুদ রাশেদের (ক্যাশ ইনচার্জ) বিরুদ্ধে তিন গ্রাহকের ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে তিগ্রস্থ গ্রাহকরা ব্যাংকে এসে বিােভ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক্ত ওই শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার হাসান মাহমুদ রাশেদ বর্তমানে চট্টগ্রামের বারইয়ার হাট শাখায় কর্মরত বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রেহানা আক্তারকে তার কে পাওয়া যায়নি। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

শহরের মিজান রোডস্থ গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের তৃতীয় তলায় অবস্থিত এসআইবিএল ফেনী শাখায় দুপুরে গ্রাহকরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ফুলগাজীর উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের মনির আহম্মদ মেম্বার বাড়ির গ্রাহক আবদুল সালাম। তিনি জানান, তার একাউন্ট
নং-০৬৯১৩৪০০১৮০৬১। তিনি ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর উক্ত ব্যাংকে হিসাব খোলেন। তিনি বিভিন্ন সময় ব্যাংকে থেকে চেকের মাধ্যমে জমা দেন ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ও নগদ জমা ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মোট ৩৩ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি টাকা উত্তোলন করতে এসে দেখেন ব্যাংকে জমা আছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। পরে তিনি বিষয়টি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে জানান। তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেন সেখানে তার টাকা নেই।

এদিকে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের আলী মির্জা বাড়ির মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলম জানান, তার ব্যাংক হিসাব নং- ০৬৯১৩৪০০১৬৬৬৫। বিভিন্ন সময় তিনি প্রায় একযুগ ধরে টাকা আয় করে ১৭ লাখ টাকা এ ব্যাংকে রাখেন। গত মাসে তার স্ত্রী রেজিয়া সুলুতানাকে দিয়ে একাউন্ট চেক করে দেখতে পান একাউন্টে কোন রকম টাকা নেই। ঘটনা শুনে তিনি সৌদি আরবে অজ্ঞান হয়ে অসুস্থ হয়ে যান। হাসপাতালের এক সাপ্তাহ চিকিৎসার পর বাড়ি এসে প্রথমে ব্যাংকে আসেন। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা তার সাথে কথা বলতে রাজী নন এবং বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

একইভাবে তার স্ত্রী রেজিয়া সুলতানার হিসাব নং-০৬৯১৩৪০০১২৪৯২ এর মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকা একই ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে একাউন্ট চেক করে দেখতে পান ব্যালেন্স জিরো।

এদিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রেহানা আক্তারকে তার কে পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

ওই ব্যাংকের ফেনী শাখার অপারেশন অফিসার গোলাম কিরবিয়া জানান, তাদের শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার (বর্তমানে চট্টগ্রামের বারইয়ার হাট শাখায় কর্মরত) হাসান মাহমুদ রাশেদ বেশ কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা তাদের একাউন্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে সম্প্রতি কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি উর্ধত্বন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত চালাচ্ছে। প্রমাণ পেলে দ্রুত টাকা ফেরত দেয়া হবে।

error: Content is protected !!