আজ

  • বৃহস্পতিবার
  • ১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সোনাগাজীর নুসরাত হত্যাকাণ্ড হাফেজ আবদুল কাদেরের স্বীকারোক্তি

আপডেট : এপ্রিল, ১৯, ২০১৯, ২:৫৭ অপরাহ্ণ


সোলায়মান মাহদী >>>
সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হাফেজ আবদুর কাদের নামের আরো এক আসামি আদালতে ১৬৪ দারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
হাফেজ আবদুল কাদের সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিলের শিক্ষার্থী ও হেফজ বিভাগের প্রধান এবং প্রধান আসামী সিরাজ উদ দৌলার অন্যতম সহযোগী।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল গণমাধ্যমকে স্বীকারোক্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হাফেজ আবদুল কাদের আদালতের কাছে স্বীকার করেছে সে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। ঘটনার দিন সে হত্যাকারীদের নিরাপত্তায় মাদ্রাসার গেট পাহারায় ছিলো। এবং পরিকল্পনা কারীদের মধ্যে অন্যতম। এবং নিজের সক্রিয় অংশ গ্রহণের কথাও জানিয়েছে। তার রুমেই হয়েছে পরিকল্পনা। এই মামলায় এজহারভুক্ত সকল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

এর আগে আটককৃত মামলার অন্যতম দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম,শরীফের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার সকালে ঢাকার হোসনী দালান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা।

এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।

error: Content is protected !!