আজ

  • শুক্রবার
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরশুরাম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের প্রশংসা পএের জন্য অতিরিক্ত ১০০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ।

আপডেট : জুন, ২৪, ২০১৯, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ

আবু ইউসুফ মিন্টু :
ভর্তির জন্য পরশুরাম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাসের প্রশংসাপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা চরম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। প্রতিটি প্রশংসাপত্রের দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১০০০(এক হাজার) টাকা। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বৈআইনি ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।প্রশংসাপত্রের জন্য ১ হাজার টাকা নেওয়ার কথা অকপটে স্বীকারও করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম মজুমদার।

এ প্রতিষ্ঠানে প্রশংসাপত্রের জন্য অতিরিক্ত টাকা থেকে রেহাই পাচ্ছে না মেধাবী শিক্ষার্থী রাশেদুল আলম সহ মাদ্রাসার হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরাও।

শনিবার কয়েকজন শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করতে উপজেলা রোডে জড়ো হন, কিন্তু শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা অভিযোগ জানাতে পারেননি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২২জুন) পরশুরাম ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাসেদুল আলম সহ কয়েকজন প্রশংসা পত্রের জন্য অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলামের অফিস কক্ষে অপেক্ষা করছেন। এ সময় হতদরিদ্র পরিবারের এতিম শিক্ষার্থী রাসেদুল আলম একহাজার টাকা দিতে পারবেনা বলে জানালেও অধ্যক্ষ তাকে প্রশংসা পত্র দিবে না বলে জানিয়ে দেন।

অধ্যক্ষের কাছে এই বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান প্রশংসা পত্রের জন্য একহাজার টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ফরিদ আহামেদ জানান প্রশংসাপত্র নিতে সরকারি নিয়মে নির্ধারিত কোন ফি নেই, তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হয়তোবা নিজস্ব উদ্যোগে দুই/এক শ টাকা করে নিতে পারে। তবে ১ হাজার টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

জানা যায় পরশুরাম কবি সামছুন নাহার বালিকা বিদ্যালয় প্রশাংসাপত্রে দাম নির্ধারন করেছে ৫শ টাকা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন জানান হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২/৩ শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

পরশুরাম সরকারি পাইলট হাইস্কুল প্রশংসা পত্রের দাম নি:র্ধারন করা হয়েছে ৩শ টাকা করে । উপজেলা আরো একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫শ টাকা করে আদায় করছে।

পরশুরাম-ফুলগাজী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান প্রশংসা জন্য সর্বোচ্চ ২/৩ শ টাকা করে নিতে পারে তবে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা নেওয়ার সম্পুর্ন বেআইনি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান প্রশংসাপত্রের জন্য একহাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন, সরকারি নিয়ম বর্হিভুত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
পরশুরামে এবারে এসএসসি পাস করেছে ১০০০ জন, পাসের হার ৭৯.৮০ শতাংশ। দাখিল পরীক্ষায় পাস করেছে ৫৫৪ জন, পাসের হার–৮৮.৯২ শতাংশ।

error: Content is protected !!