
মিরসরাই প্রতিনিধি,
মিরসরাইয়ের করেরহাটে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূর নাম কুলছুমা আক্তার মুন্নী (২৪)। রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ঘেড়ামারা পশ্চিম অলিনগর গ্রামের মোহাম্মদ সওদাগর বাড়ী থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মুন্নী ওই বাড়ীর কাতার প্রবাসী মুক্তার হোসেনের স্ত্রী। আরাফাত হোসেন মাহিন নামে তাদের ৩ বছর বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। মুন্নীর ভাইয়ের দাবী তাকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্বামী এখন কাতারে আছেন।
মুন্নীর বড় ভাই ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ৫বছর আগে আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় মুক্তার হোসেনের সাথে আমার একমাত্র বোনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তাকে স্বামী, শশুর-শাশুড়ী, ভাসুরের স্ত্রী (জা) বিভিন্ন ভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সর্বশেষ রোববার বিকেলে আমার বোন আমাদের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যায়। সন্ধ্যায় খবর আসে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। তাকে শশুরবাড়ীর লোকজন হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। আমরা গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শফি আহম্মদ বলেন, মুন্নীর লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তার লাশ থানায় নেওয়া হয়। পারিবারিক কলহে এমনটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, মুন্নীর পরিবার দাবী করছে তাকে শশুরবাড়ীর লোকজন খুন করে পরিকল্পিতভাবে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতেছে। লাশের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার এসআই নিবাস কুমার ভট্টাচার্য বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক ঘটনা জানা যাবে।