সম্পাদক>>>
আহ বাংলাদেশ 😥
#স্বরণকালের_ভয়াবহ_দূর্ধষ_আসামী
ধরা পড়েছে সাংবাদিক কাজল
প্রবীন এই সাংবাদিক যে কোন মূহুর্তে ৮-১০কে খুন করতে পারে তাই পিচমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়েছে???
#যে_কাহিনী_মধ্যযুগীয়_বর্বর_যুগকে
হার মানায়।
ঢাকা থেকে নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে যশোরের বেনাপালের রঘুনাথপুর সীমান্তবর্তী গ্রামের মাঠের ভেতর থেকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। কাজল বাংলাদেশের নাগরিক। নিজের জন্মভূমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে
মুহূর্তেই তাকে পিচমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়।
এরপর কাজলকে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে একটি থ্রিহুইলারে করে পুলিশ সদস্যরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনেন। এ সময় তার হাত পিঠমোড়া দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরানো ছিল। কাজলের মুখভর্তি ছিল সাদা দাড়ি। পরনে ছিল ফুল হাতা গেঞ্জি ও খাকি রঙের প্যান্ট। পায়ে ছিল দুই ফিতের চটি স্যান্ডেল। থ্রিহুইলার থেকে নামানোর পর কাজলকে তার ছেলে পলক জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে আজ ৩ মে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারের এসব কথা বর্ণনা করেছেন আশেক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন রঘুনাথপুর গ্রামস্থ ২০ এর মেইন পিলার থেকে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ভারত থেকে হেঁটে আসা ব্যক্তি মো. শফিকুল ইসলাম কাজলকে (৫১) আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে কাজল নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় দিয়ে তাঁর নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন।
তিনি ভারতের কোথায় ছিলেন, কার কাছে ছিলেন এসব কিছুই বলতে পারেননি। সে সময় কাজলকে উদ্ভ্রান্ত এবং অসুস্থ দেখা যায়। তবে একটা বিষয়, থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের আগে আমি জানতাম না যে তিনি সাংবাদিক। থানা থেকে ফিরে শুনেছি উনি সাংবাদিক।’ সাংবাদিক জানার পরও তাকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নেয়া হয়।
কাজলের আইনজীবী দেবাশীষ দাসের সহকারী সুদিপ্ত ঘোষ জানান, বিকেল ৫টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে হাজির করলে বিচারক শুনানিশেষে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় তাঁকে জামিন দেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার শেরেবাংলা, কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় আইসিটি অ্যাক্টের মামলা থাকায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটকাদেশ পেতে নতুন করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের আবেদন জানান। পরে বিচারক এ মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার নিজ কর্মস্থল থেকে বের হওয়ার পর পরই নিখোঁজ হন কাজল। কোনো সন্ধান না পেয়ে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী নয়ন। ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় তাঁর পরিবার।
সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর সন্ধানের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিক সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
তবে নিখোঁজের বেশ কয়েক দিন পর সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি বেনাপোলে চালু হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান।