সম্পাদক >>>>সালাহ উদ্দিন মজুমদার
এক এগারোর পর থেকে দীর্ঘ ১০ বছর পর ফেনীতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও দুই আসনের সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিন হাজারী।
এ সময় নেতাকর্মীসহ ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো তার নিজ বাড়ির মুজিব উদ্যান। এ সময় তাকে নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিচ্ছিদ্র বেষ্টনীতে ঢাকা ছিলো পুরো শহর। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ছিল চেকপোস্ট। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গেল শনিবার বিকেল চারটায় শহরের মাস্টার পাড়াস্থ বাবা মা’র কবর জেয়ারত করেন জয়নাল হাজারী।
তিনি বলেন এখনকার ফেনীতে রাজনীতিবিদদের পরাস্ত করে চোর ডাকাতেরা ক্ষমতায় এসেছে।এখন কোন চোর নেই,চোরেরা ওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান,চোরেরা ইউনিয়ন কমিটির মেম্বার,সব চোর আওয়ামীলীগে ডুকে গেছে।এগুলো আল্লার রহমতে বন্দ হবে,আপনারা ভয় করবেননা।ভয়টা হলো আমাদের বড় দুর্বলতা,আমরা ভয় যদি না করি কেউ কিছু করতে পারেনা- দির্ঘদিন পর ফেনীতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বললেন সাবেক এমপি জয়নাল আবদীন হাজারী।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মনোনীত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ফেনীতে এসে মাষ্টারপাড়ার মজিব উদ্যানের দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।এসময় নেতাকর্মী সহ ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত ছিলো তার নিজ বাড়ীর মুজিব উদ্যোন।
জয়নাল হাজারীর ফেনীতে আগমন উপলক্ষ্যে পুরো শহরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন।যে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিকি এড়াতে ফেনী শহরের সব প্রবেশ পথে ব্যারিকেড বসায় পুলিশ।গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ছিলো পুলিশের টহল।প্রবেশপথে ব্যারিকেড থাকার কারনে শহরমুখি মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।মানুষের ঈদ আনন্দে ভাটা পড়ে।
ট্রাংকরোড়ে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে জয়নাল হাজারীর গাড়ী
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শনিবার বিকেল ৪ টায় শহরের মাষ্টার পাড়াস্থ বাবা মা’র কবর জেয়ারত করেন জয়নাল হাজারী।জেয়ারত শেষে বাড়ী প্রাঙ্গণ মুজিব উদ্যেনে দলীয় নেতা কর্মী ও ভক্তদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা শেষে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন,জোর করে জায়গা দখল করে স্টেশনরোড়ে আওয়ামীলীগের অফিস তৈরী করছে তারা। বর্তমানে চলমান ফেনীর সন্ত্রাস-দূর্নীতি চাঁদাবাজ ও অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ করতে আহবান জানান।পাশাপাশি আগামীতে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে ফের সোচ্চার হবেন বলে জানান ।
তিনি বলেন ইতিমধ্যে মামলা হামলার শিকার দলীয় ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আগামীতে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে রক্ষা করবেন।
তিনি আরো বলেন,সোনাগাজীর পৌরমেয়র খোকন ও ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল ট্রাংকরোড়ে প্রকাশ্যে জনসভায় বলেছিলো তারা আমার লাশও ফেনীতে আসতে দিবেনা,আজকে তারা কোথায়।আমি শুধু জানতে চায় আজকে ফেনী শহরের কোথায় রয়েছে তারা।ফেনী শহরের সবাই লাগবেনা এখানে যারা আছে তারাই তোমাদের টুকরো টুকরো করে ফেলবে।হাজারীর এমন বক্তব্যের সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা মুহুমূহু শ্লোগান দিতে থাকে।
সন্ধ্যায় শহরের পাগলা মিঞার মাজার জেয়ারত শেষে তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হকের কবর জেয়ারত করতে যাওয়ার পথে পুলিশে সাথে কথোপকথনে স্থানীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে তিনি সেখানে না গিয়ে ঢাকার বাসভবনে ফিরে যান। এদিকে ঈদের দিন বিকালে প্রতিবারের মতো জেলার সরকার সমর্থক জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী।এসময় তার মাষ্টার পাড়ার বাসভবনের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের ভীড় ছিলো লক্ষনীয়।বাসভবন এলাকায় আশেপাশে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিলো।