
স্টাফ রিপোর্টার>>>
ফেনীতে ইটভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে ফসলি জমির মাটি!
ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। ফসলি জমির মাটি দিয়ে ইট তৈরিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভাটার মালিকরা এর কোনও তোয়াক্কাই করছে না।প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুনাফালোভীদের কাজে লাগিয়ে ভাটা মালিকারা “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন” ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার পরপরই ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। আর এসব মাটি ট্রাকে ও ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন ইটভাটায়া। মাটি বিক্রি করেছেন এমন কয়েকজন কৃষক জানান, ইট ভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য এক শ্রেণির দালাল চক্র গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের মাটি বিক্রি করতে উৎসাহ জোগায় এবং স্বল্পমূল্যে উপরিভাগের এসব মাটি কেটে কিনে যায়। আর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কথা না জেনে এভাবেই কৃষকেরা নগদ লাভের আশায় জমির মাটি বিক্রি করেন।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমার জমির পাশের জমির মালিক ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। তাকে আমরা মাটি বিক্রি না করতে অনুরোধ জানালেও তিনি অনুরোধ রাখেননি। এভাবে মাটি বিক্রি করলে ফসল উৎপাদন কমে যাবে এটাও তাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু মানুষ নগদ টাকার লোভে আমাদের কৃষির ক্ষতি করছেন।”
জমির উর্বরতা শক্তি উপরিভাগ থেকে ১৫-২০ ইঞ্চির মধ্যে থাকে। তাই ওপর থেকে মাটি সরিয়ে ফেলায় উর্বরতা শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় সেই জমির ওপর বিভিন্ন পদার্থ জমে উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে শুরু করে। এভাবে আগের মতো উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে