অফিস ডেস্ক>>>>
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ব্যবসায়ীক পার্টনারের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ব্যাবসায়ী পার্টনার সোহরাব হোসেন তারেক কে অপহরণ করে জিম্মি করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ফেনীর একটি রেস্টুরেন্টে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী দাবি করেন,জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জমির উদ্দিন বাবুর সাথে জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সৌরভ হোসেন তারেকের যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। উক্ত ঠিকাদারি কাজের গত দুই বছর কাজ সম্পন্ন করেন সৌরভ হোসেন তারেক। এতে কাজের সমুদেয় পাওনা টাকা জমির উদ্দিন বাবর নিকট দাবি করলে অপরাপর ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মজুমদার অভি, মোরশেদ আলম ও সৌরভ হোসেন শফিক সহ যোগসাজশে গত ১৩মে দুপুর ১২ টার সময় ছাগলনাইয়া উপজেলার নিশান ব্রিকফিল্ডের সামনেথেকে ব্যবসায়ীক পার্টনার সোহরাব হোসেন তারেক কে অপহরণ করে ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের হলরুমে নিয়ে যায় সেখানে ব্যবসায়ী তারেকের পরিবারের কাছে মোবাইল করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে তারেকের মা ও তার স্ত্রী ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের উপস্থিত হয়। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সৌরভ হোসেনের মা ও স্ত্রীকে মারধর করে শ্লীলতাহানি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় একপর্যায়েন একশত টাকার পাঁচটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। সাথে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। এছাড়াও সৌরভ হোসেন এর পৈতৃক সম্পত্তির একটি খতিয়ানের কপি জিম্নি করে রাখে ।টাকা পরিশোধ করলে আদায় করা স্ট্যাম্প ও খতিয়ান কপি দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে সোহরাব হোসেনের স্ত্রী ও তার মা চিৎকার করলে বিবাদীরা সরে পড়ে। এবং এই বিষয়ে কোন ধরনের মামলা-মোকদ্দমা করলে সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। অপহরনের ঘটনায় স্থানীয় সমাজ পতিদের কাছে বিচার দেওয়া হলে এ বিষয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় এ ক্ষতিগ্রস্থ সৌরভ হোসেনের স্ত্রী অধরা আক্তার নদী বাদী হয়ে ফেনীর আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে জমির উদ্দিন বাবুসহ তার সহযোগীরা সোহরাব হোসেনের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি সহ নানা ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে। এই ঘটনা তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন। সোহরাব হোসেনের স্ত্রী আক্তার নদী সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে।