সালাহ্উদ্দিন মজুমদার>>>
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকি ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের একজন হলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম।
কিন্তু রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তার স্ত্রী শিরিন রহিম বলেছেন, ‘ঘটনার দিন আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে (সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতাল) ভর্তি ছিলেন। ১৫ দিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তারপরও মামলায় তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। উনার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নাই, সাক্ষী নাই, ফিল্ড অফিসারকে এ বিষয়ে ডাকা হয়েছিল, তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। সবাই উনাকে এত সম্মান করেন। শুধু বিএনপির সময় এনএসআইয়ের ডিজি থাকার কারণেই তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।’
আব্দুর রহিম পরবর্তীকালে মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে- সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, উনি তো তখন অবসরে গেছেন, তার জায়গায় রেজ্জাকুল হায়দার সাহেব এসেছিলেন। তাহলে এখানে তার কী করার থাকতে পারে?
তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে হয়তো আমি অপরাধ করতে পারি, ভুল অন্যায় করতে পারি। কিন্তু আমার স্বামী জীবনে মিথ্যা কথা বলেনি, অন্যায় কাজ করেনি। করতে পারলে হয়তো জীবনে অনেক কিছু করতে পারতেন। আমার চল্লিশ বছরের বিবাহিত জীবনে তাকে কোনো অন্যায়ের পক্ষ নিতে দেখিনি। এমন কোনো মানুষ নেই উনার জন্য দোয়া করে না। এই রায় প্রত্যাখ্যান করছি, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল (প্রয়াত) ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।