স্টাফ রিপোর্টার>>>মাহদী
শোক আর ভালোবাসায় চিরবিদায় নিয়েছে দূর্বৃত্তদের আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে বহনকারি ফ্রিজার এ্যাম্বুলেন্সে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে পৌর শহরের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মৌলভী বাড়িতে পৌছে। ওই বাড়ির মাওলানা একেএম মূসার একমাত্র মেয়ে রাফি। তাকে বহনকারি যখন কাশ্মিরবাজার সড়ক হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাকে দেখতে দুপুর থেকে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নারি-পুরুষ জড়ো হয়। ভীড় ছিলো গণমাধ্যমকর্মীদেরও। সবার চোখে-মুখে শোকের পাশাপাশি ছিল ক্ষোভও। উৎসুক মানুষের ভীড় সামলাতে পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়। একপর্যায়ে লাশ গাড়িতে রেখেই শেষবারের মতো বাবা একেএম মূসা, মা শিরীন আকতার, ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সহ নিকটাত্মীয়দের গাড়ীতেই দেখানো হয়। পরবর্তীতে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামান, পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কম, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেড.এম কামরুল আনাম, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিফটন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল পারভেজ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, রাফির বাবা একেএম মুসা, ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। রাফির বাবা একেএম মুসার ইমামতিতে হাজার হাজার মুসল্লী জানাযায় অংশ নেন। পরে ভূঁইয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশেই দাফন করা হয়।